বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ ক্রিমিয়া সেতুতে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছে। রাশিয়ার তদন্তকারী কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর আল-জাজিরার।
কমিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে সেতুর যেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানের একটি গাড়ির যাত্রী ছিল নিহতরা। একজন নারী ও একজন পুরুষের মরদেহ পানি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বিবিৃতিতে আরও বলা হয়, যে গাড়ির মাধ্যমে বোমাবিস্ফোরণ হয়েছে সেটির মালিকের পরিচয় এরই মধ্যে বের করা হয়েছে।
এদিকে তাস ও ইজভেস্তিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গাড়িবোমা হামলায় ক্রিমিয়ার সাথে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। সেতুর রেলট্র্যাকের অনেকখানিই পুড়ে গেছে। সড়ক পথের একাংশ ভেঙে নদীতে পড়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিষয়টি নিয়ে রাশিয়ার দুর্যোগ মোকাবেলা ও সড়ক মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক এ ঘটনায় তার দেশের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেছেন।
রাশিয়া ও ক্রিমিয়ার মধ্যে স্থলসংযোগের একমাত্র মাধ্যম এই ক্রিমিয়ান সেতু বা কের্চ প্রণালী সেতু। ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ আধিপত্যের একটি প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। দক্ষিণে রাশিয়ার সামরিক অভিযান টিকিয়ে রাখার চাবিকাঠিও এটি
আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫ মিনিটে কারশ প্রণালীর বুকে নির্মিত ক্রিমিয়া সেতুতে পারাপাররত একটি জ্বালানিবাহী ট্রেনে আগুন ধরে গেলে প্রায় চার ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে। শক্তিশালী বিস্ফোরণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্রিমিয়ান সেতু। দুই ভাগে বিভক্ত সেতুর সড়ক অংশের দুটি খণ্ড বিস্ফোরণে ধসে পড়েছে। আগুন লেগেছে রেল অংশে থাকা তেলবাহী ট্যাংকারে। রাশিয়া বলছে, একটি গাড়িবোমা ব্যবহার করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
ক্রিমিয়ান সেতুটি সড়ক ও রেল দুটি অংশে বিভক্ত। সড়ক অংশে আবার রয়েছে দুটি ভাগ। মূলত পাশাপাশি তিনটি সেতু মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ক্রিমিয়ান সেতু। এ অবস্থায় ক্রিমিয়ান সেতু অকেজো হয়ে গেলে দ্বীপটিতে পণ্য বা সামরিক সরঞ্জাম পরিবহন আরও কঠিন হয়ে উঠবে।